লিখেছেনঃ পুষ্টিবিদ আবু বকর সিদ্দিক ( https://www.facebook.com/mabsiddiq )
প্রতিবেলার খাবারে আমাদের ভাত না হলে চলেই না। কিন্তু চালের একটা বিপদ হচ্ছে আর্সেনিক ও ভারী ধাতুর উপস্থিতি। আমাদের দেশের প্রায় অনেক অঞ্চলে আর্সেনিক এর তীব্র প্রকোপ দেখা যায়, ফলে সেই এলাকার ফল, ফসলেও পাওয়া যায় আর্সেনিকের উপস্থিতি। এ থেকে বাচার কি কোন উপায় আছে, সে বিষয়ে খুজতে গিয়ে দারুন কিছু তথ্য পেলাম। সামনে আমার ছেলে মুহাম্মাদ কে বাড়তি খাবার দেয়া শুরু করতে হবে। তাই তার জন্য খুজছিলাম সবচেয়ে নিরাপদ চাল।

জানতে পারলাম, সাধারণত সুগন্ধি চালে তুলনামূলক আর্সেনিক কম থাকে। কেউ যদি সাধারণ চালের পরিবর্তে সুগন্ধি চাল খায় তাহলে তার প্রতিদিন আর্সেনিক গ্রহণের হার ৪৮%-৬৯% পর্যন্ত কমে আসবে।
আরেকটা মজার বিষয় জানলাম। যেসব চালে আর্সেনিক বেশী থাকে সেসব চালে জিংক ও সেলেনিয়াম কম থাকে। এক্ষেত্রে কেউ যদি সুগন্ধি চাল খায় তাহলে তার প্রতিদিনকার সেলেনিয়ামের চাহিদার ৪৬% পূরণ হয়ে যাবে আর জিংক এর চাহিদার পূরণ হবে ২৩ শতাংশ।
তবে সুগন্ধি চালের ক্ষেত্রেও অঞ্চলভেদে আর্সেনিক, সেলেনিয়াম ও জিংকের উপস্থিতির তারতাম্য দেখা যায়।
এই বিবেচনায় সামনে একদিন কোন এলাকার চাল এবং কি ধরনের চাল সেরা তা নিয়ে লিখবো।
